চলমান শৈত্যপ্রবাহে অধিকাংশ জেলার জনজীবণ বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। এই শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তৃত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৬টার দিকে এদিকে তীব্র শীতে অচল হয়ে পড়ে পঞ্চগড়। এই জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটাই চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপামাত্রা বলে জানা গেছে। তাপমাত্রা কমে আসায় হাড়কাঁপানো কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিনের তাপমাত্রা। এছাড়া আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া মূলত থাকতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আজ মধ্যরাত থেকে আগামীকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন চলাচল ব্যাহত হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জেলায় বয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগেও তাপমাত্রার পারদ ছিল ৮-১০ ডিগ্রির ঘরে। এখন ঘন কুয়াশা আর উত্তর দিক থেকে ধেয়ে আসা হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা বেশ কমেছে।
শহর ও গ্রামাঞ্চলের নিম্ন-আয়ের জনপদ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে। জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করেই খেটে খাওয়া মানুষদের সকালেই কর্মস্থলে এবং কাজে সন্ধানে বের হতে হচ্ছে।