আগামী ৩০ জানুয়ারি সারাদেশে জেলা, মহানগর ও উপজেলায় শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। ওইদিন সারাদেশে পাহারাও বসাবে দলটি।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে আওয়ামী লীগের শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে এ ঘোষণা দেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক ছাত্রনেতা ইসহাক আলী খান পান্না, এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এমপি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।

এদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যূর যে সমস্যা সেটা কমিয়ে আনা হবে। প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের পর এ নিয়ে তার টিমের সঙ্গে বসেছেন। একটু অপেক্ষা করুন।

তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে গয়েশ্বর বাবু এতদিন কোথায় ছিলেন? বলেছিলেন অলিগলি না কী সব আপনাদের দখলে। আপনাকেই তো কোনো অলিগলিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১৫ বছর চলে গেছে। আরো ৫ বছর অপেক্ষা করুন।

তিনি বলেন, বিএনপির আন্দোলন জনগণ মানে না। তারা আবার আন্দোলন ডেকেছে। এটাও ব্যর্থ হবে। জনগণ তাদের ডাকে সারা দেয় না।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোনো বিদেশি শক্তি শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় বসায়নি। জনগণ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। তাদের আন্দোলন ভুয়া। তাদের নেতাকর্মীরা এখন হতাশ। ৩০ তারিখ যে আন্দোলন ডেকেছে, সেটিও ভুয়া। ঐদিন সারাদেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলায় শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ হবে।

কাদের আরো বলেন, অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীতে চলতে হবে।