আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করে বলেছেন,‌ বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা আর বিদেশীরা লাল পতাকা দেখিয়েছে। নির্বাচনের পর বিদেশীরা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তারা শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজ করতে চান। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে বিএনপি গর্তে ঢুকে গিয়েছিল। এখন গর্ত থেকে বের হয়েছে। তাদেরকে বেশি বাড়তে দেয়া হবে না। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, কেন্দ্রীয় সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম, সাবেক ছাত্রনেতা ইসহাক আলী খান পান্না, এডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ এমপি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ্র, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি।

এডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী ৫ বছর অপেক্ষা করুন। ততদিনে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে কি না, সেটা চিন্তা করেন। কোনো অপকর্ম করার চেষ্টা করলে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের প্রতিহত করা হবে।

হানিফ বলেন, নির্বাচন বয়কট করে কেউ লাভবান হতে পারে না। সেটা ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। বিএনপিকে চিরদিনের জন্য রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা উচিত। দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনৈতিক দলকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

বিএম মোজাম্মেল বলেন, অব্যাহত ব্যর্থতার কারণে বিএনপির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উচিত তারেক রহমান আর তাদের নেতাদের কালো পতাকা দেখানো। কারণ বিএনপির নেতাদের একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত তাদের খাদের কিনারায় নিয়ে গেছে।