নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ‘শরীফার গল্প’ থার্ড জেন্ডার নাকি ট্রান্সজেন্ডার এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। এর মধ্যেই ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন খণ্ডকালীন শিক্ষকের বই ছেড়া এবং তাকে চাকরিচ্যুতির পর তা সারাদেশে আলোচনার জন্ম দেয়। মঙ্গলবার আন্দোলনে নামেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ওই গল্পে যদি কোনো অসঙ্গতি থাকে তবে সংশোধন করা হবে। ‘শরীফার গল্প’ নামের গল্পটি পর্যালোচনা করার জন্য বুধবার উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে আজ বৃহস্পতিবার বসছে বলে জানা গেছে।
পাঁচ সদস্যের কমিটির আহ্বাবায়ক এনসিটিবি সদস্য (কারিকুলাম) অধ্যাপক মশিউজ্জামান জানিয়েছেন, বুধবার মাত্র কমিটি হয়েছে। এখনো সব সদস্যের সাথে কথা বলা হয়নি। তবে আজকে বিকেলের মধ্যে আনুষ্ঠানিক একটি বৈঠক করা হতে পারে।
কমিটি কোন পদ্ধতিতে কাজ করবে জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথম হলো সবাই আগে বসা। তারপর বলতে পারব কিভাবে কাজ করবে।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটিতে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুর রশীদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো: মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।