দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ রাশিয়ার দীর্ঘস্থায়ী ও বিশ্বস্ত বন্ধু বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ।

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মাঝে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫২ বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় ল্যাভরভ এই কথা বলেন।

এক বিবৃতিতে ল্যাভরভ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ হচ্ছে রাশিয়ার দীর্ঘস্থায়ী এবং বিশ্বস্ত বন্ধু। প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধুত্ব, সমতা এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপরে নির্ভর করে আমাদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করেছিল এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে একটি ছিল। সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর নাবিকদের অবদান এখনও বাংলাদেশিরা মনে রেখেছে, যারা ১৯৭২-১৯৭৪ সময়কালে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিস্ফোরক এবং নিমজ্জিত জাহাজ থেকে মুক্ত করেছিল।

ল্যাভরভ আরো বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে আমাদের দুই দেশের দৃষ্টিভঙ্গি প্রায় একই রকম। আমাদের সম্পর্কে কোনো বিরোধ কিংবা অমীমাংসিত বিষয় নেই এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সখ্যতার মধ্য দিয়ে আমাদের সম্পর্ক এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক আলোচনা চলছে উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, বাংলাদেশ সফরকালে আমাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে আমার আলাপ হয়েছিল। দক্ষিণ

এশিয়ায় বাংলাদেশ রাশিয়ার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রকল্পে রাশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে, রাশিয়ান বিভিন্ন এজেন্সি বাংলাদেশের সাথে তেল এবং এলএনজি সরবরাহের ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে। এছাড়াও, রাশিয়া বাংলাদেশকে নিয়মিত আটা এবং সার সরবরাহ করে চলেছে। বিবৃতিতে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫২ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ল্যাভরভ পরস্পরের জন্য উপকারী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার আশা প্রকাশ করেন।