রাজধানীর পল্টন মডেল থানার একটি মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ নিয়ে ১০ মামলার মধ্যে ৯ মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অধিকতর জামিন শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেখায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
অপর দিকে প্রধান বিচারপ্রতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানায় করা মামলার তার অধিকতর জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত এ বিষয় আদেশ বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দেবেন বলে জানিয়েছেন আদালত।
এর আগে রোববার (২১ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে রমনা ও পল্টনের অন্য দুই মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। তারও আগে বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রমনা থানার দুই ও পল্টন মডেল থানার দুই মামলায় শুনানি শেষে দশ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এরও আগে গত ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় নাশকতার অভিযোগে করা পৃথক চার মামলায় আমীর খসরুর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে চার মামলায় তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ ছাড়া অপর চার মামলার নথি না থাকায় রোববার ওই মামলাগুলোর জামিন আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়।
গত ৮ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার ৮ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরুর জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতকে এ নির্দেশ দেয়া হয়।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো: আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমীর খসরুর পক্ষে এক রিট আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, ২ নভেম্বর দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশান ৮১ নম্বর রোডের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
২৮ অক্টোবরের ঘটনায় আমীর খসরুর বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা হয়। দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এজন্য অপর আট মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। এর মধ্যে রমনা মডেল থানায় চার এবং পল্টন মডেল থানায় চারটি মামলা রয়েছে।