উত্তরের জেলা পাবনায় কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে সীমাহীন দুর্ভোগ। হিমেল হাওয়ায় বাইরে বের হওয়াই যেন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। শ্রমজীবী মানুষগুলো সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন। অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক জানান, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানান এই আবহাওয়া পর্যবেক্ষক।
সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে এই জেলা। শীতবস্ত্রের অভাবে কনকনে ঠান্ডায় দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। অনেকেই পেটের তাগিদে কাজে বের হয়েছেন দিনমজুরসহ রিকশা-ভ্যানচালকেরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর চাপ।
এদিকে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নামায় পাবনা জেলার সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দিক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা ও জেলা শিক্ষা অফিসার রোস্তম আলী হেলালী স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী, যেসব জেলায় তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামবে, সেখানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা যাবে। এদিকে বেলা ১১ টা থেকে রোদ্রের মুখ দেখা গেলেও ঠান্ডা বাতাস বইছে। যুবুথুবু হয়ে পড়েছে সব বয়সী মানুষ।