সারা দেশেই জেঁকে বসেছে শীত। এর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি দেশের উত্তরাঞ্চলে। পৌষের শীতে নাকাল দক্ষিণের জেলাও। কখনো কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া, কখনো রোদ ঝকমকে দিনের শুরু।

পাড়া মহল্লায় কিংবা রাস্তার ধারে বসে আগুন পোহানো, গ্রাম বাংলার শীতের প্রতিচ্ছবি। উষ্ণতা খুঁজে বেড়ায় পশু-প্রাণীও। কিন্তু দিনের অধিকাংশ সময় রোদের দেখা না পাওয়ায় প্রভাব পড়ছে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে। এতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ।

শীতের তীব্রতার প্রভাব পড়েছে ঘন কুয়াশায় ক্ষতির মুখে রয়েছে সবজি আবাদ। পশ্চিমা বাতাসে ভেসে আসা ঘন কুয়াশায় মারাত্মক ক্ষতিতে পড়েছেন আলু চাষিরা। ঘন কুয়াশায় বাতাসে আলুর লেট ব্লাইট বা মড়ক রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় পচে যেতে শুরু করেছে আলু গাছের পাতা।

এছাড়া ঘন কুয়াশায় বিঘ্ন হচ্ছে যান চলাচলেও। বিশেষ করে নৌরুটে। দুর্ঘটনা এড়াতে রাতে বেশিরভাগ সময় বন্ধ রাখা হচ্ছে ফেরি ঘাট।

এদিকে চলতি মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। জানুয়ারি মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অফিস জানায়, উত্তর পশ্চিম থেকে হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহে রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

এদিকে, কিশোরগঞ্জ, পাবনা, দিনাজপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলায় বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। সকাল থেকে ঘন কুয়াশা। বেলা ১টার দিকেও কুয়াশা কাটেনি। শুক্রবার কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল নিকলীতেই ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।