শুক্রবার দিনব্যাপী রাশিয়া ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এতে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি এক্স (পূর্বনাম টুইটার)-এ তার এক পোস্টে বলেন, ‘আজ রাশিয়া তার অস্ত্রাগারের প্রায় সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে, ‘কিন্ডজালস’, এস-থার্টি, ক্রুজ মিসাইল এবং ড্রোন… ইউক্রেনের ওপর মোট ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছিল, যেগুলোর বেশিরভাগই গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।’

জেলেন্সকি বলেন, একটি প্রসূতি হাসপাতালে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। অন্যান্য যেসব লক্ষ্যবস্তুর ওপর হামলা চালানো হয়েছে সেগুলো হলো ‘শিক্ষা স্থাপনা, একটি বিপণী কেন্দ্র, বহুতল আবাসিক ভবন, ব্যক্তিগত বাড়ি, একটি বাণিজ্যিক স্টোরেজ এবং একটি পার্কিং লট।’

জেলেন্সকি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পোস্টে বলেছেন, রাশিয়া কিয়েভ, লেভিভ, ওডেসা, ডিনিপ্রো, খারকিভ এবং জাপোরিঝিয়ায় আঘাত হেনেছে।

শুক্রবার ভোরে ইউক্রেনের রাজধানী জুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। শহরের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো কিয়েভের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট সংবাদপত্রটি খারকিভে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ এবং লেভিভে একটি ড্রোন হামলা থেকে বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে।

বড়দিনের বার্তায় পোপ অন্যান্য সংঘাতের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জেলেন্সকি নতুন ২৫ কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, এই সামরিক সহায়তা ‘ইউক্রেনের সবচেয়ে জরুরি চাহিদাগুলো পূরণ করবে।’

বুধবার বাইডেন প্রশাসন বিদ্যমান প্রেসিডেনশিয়াল অনুমোদনের অধীনে কিয়েভের জন্য ভবিষ্যতের সহায়তাসহ যুক্তরাষ্ট্রের মজুদ থেকে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম চূড়ান্তভাবে প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।