গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির জন্য কাতার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা নিয়ে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা আলোচনা করেছে। এই প্রস্তাবে ৪০-৫০ জন বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হতে পারে বলে ইসরাইলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে। তবে এখনো প্রস্তাবটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনজন সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তা শুক্রবার জানিয়েছেন।

যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কয়েকটি ধাপে বিভক্ত থাকবে। প্রথম ধাপে ৪০-৫০ জন বন্দীর মুক্তির বিনিময়ে কয়েক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি হবে।

তবে দ্বিতীয় পর্যায়টি খুবই জটিল বলে মনে হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। তবে এতে সম্ভবত গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তারা ‘নীতিগতভাবে আলোচনা আবার শুরু’ করতে রাজি।

সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। ইসরালি আশা করছে, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।

তবে ইসরাইলের এক কর্মকর্তা বলেছেন, হামাস এই যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ব্যাপারে সাড়া দেয়ায় আগেরগুলোর চেয়ে এটা ইতিবাচক বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, এখন সবকিছু স্থবির হয়ে আছে। ফলে এই প্রস্তাবে সাড়া দেয়ায় ভালো বলে মনে হচ্ছে।

আরেক সিনিয়র ইসরাইলি কর্মকর্তঅ বলেন, কাতারিদের কাছ থেকে এখনো বিস্তারিত প্রস্তাব পায়নি ইসরাইল। তারা বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছে।

উল্লেখ্য, ওয়ারশতে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোশাদ, সিআইয়ের প্রধান বিল বার্নসসহ কযেকজনের সাথে বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ৪০ জন বন্দীর মুক্তির বিনিময়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এতে হামাসের হাতে আটক নারী ও বয়স্ক পুরুষদের মুক্তির কথা বলা হয়েছিল।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট