বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহে ঘাটতি থাকলে স্বভাবতই সেগুলোর দাম বৃদ্ধি পায়। এতে ভোগান্তির সম্মুখীন হয় সাধারণ মানুষ। এ জন্য খুচরা বাজারে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত পণ্য আমদানির মাধ্যমে তা সহজলভ্য করা প্রয়োজন। যাতে পণ্যের সংকট তৈরি না হয়।
এ জন্য দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী এস. আলম গ্রুপ প্রতি বছরই চিনি, গম, ছোলা, পেঁয়াজ, তেলের মতো বিপুল পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে সচেষ্ট রয়েছে। চলতি বছরের সর্বশেষ তিন মাস সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে দেশীয় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ চিনি, গম ও তেল আমদানি করেছে কোম্পানিটি।
বাজার সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য বলছে, গেল তিন মাসে দেশে চিনির চাহিদা ছিল আনুমানিক ৫ লাখ ৫০ হাজার টন। গমের চাহিদা ছিল আনুমানিক ২১ লাখ টন। এর বিপরীতে গেল তিন মাসে এস. আলম গ্রুপের আমদানিকৃত চিনির পরিমাণ ছিল ২ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টন, গমের পরিমাণ ১ লাখ ১০ হাজার টন এবং আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৯১৭ মেট্রিক টন। আমদানিকৃত ভোজ্যতেলের মধ্যে ১৮ হাজার ১ মেট্রিক টন সয়াবিন ও ৮৩ হাজার ৯১৬ মেট্রিক টন পাম অয়েল রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে এস. আলম গ্রুপ থেকে বলা হয়, “ভোক্তাদের চাহিদার সঙ্গে সমন্বয় করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। তাই এস. আলম গ্রুপ অতীতের মতো বর্তমানেও জরুরি প্রয়োজনে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানিতে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আগামী বছরকে ঘিরেও নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে আমাদের বিভিন্ন পরিকল্পনা রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, তেল, গম ও চিনির বর্তমান দেশীয় বাজার চাহিদার যথাক্রমে ৩০, ২০ ও ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস. আলম গ্রুপ, যা ভবিষ্যতে ৫০ শতাংশে উন্নীত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।