প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের কার রিট খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল কো হলে পূর্বের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আর সুযোগ থাকছে না শাম্মীর।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশটি বহাল রেখে আদেশ দিয়েছেন। আদালতে শাম্মীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা প্রমুখ।
সোমবার প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে করা শাম্মী আহমেদের রিট খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন শাম্মী আহমেদ।
এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করা হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদের। বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা আপিল আবেদন করা হলে শুনানিতে এমন রায় দেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন (ইসি)। পরে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রিট করেন শাম্মী আহমেদ।
শাম্মী আহমেদ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও তা গোপন করেছেন বলে ইসিতে অভিযোগ করেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ।
নির্বাচন কমিশন বর্ণিত আপিলকারীর দ্বৈত নাগরিকত্ব সম্পর্কে তথ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঢাকার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসের সহায়তায় সংগ্রহের জন্য নির্দেশনা দেয়। সেখানে শাম্মী আহমেদের অস্ট্রেলিয়ার দ্বৈত নাগরিকত্ব তথ্য নিশ্চিত হওয়ায় তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।