গত ১৫ ডিসেম্বর দেশের কিছু গণমাধ্যমে শরিয়াহ্ ভিত্তিক ইসলামী ধারার কিছু ব্যাংক নিয়ে ভুল তথ্যপ্রচার করা হয়। এসব খবরে বলা হয়- ক্লিয়ারিং পেমেন্ট সিস্টেমের জন্য ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে চলতি হিসাবে নির্ধারিত অর্থ না থাকায় ব্যাংকগুলোতে লেনদেন সেবা বন্ধের উপক্রম হয়েছে। আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চলতি হিসাবের টাকার ঘাটতি পূরণ না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকগুলোর লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারে।
তবে ওইদিনই বাংলাদেশ ব্যাংক ওয়েবসাইটে এক জরুরি বিবৃতিতে জানায় ইসলামী ধারার এই ব্যাংকগুলো নিয়ে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হয়েছে। শরিয়াহ্ ভিত্তিক ইসলামী ওই ব্যাংকগুলোকে ক্লিয়ারিং হাউজ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
১৫ ডিসম্বের, ২০২৩-এ বাংলাদেশ ব্যাংকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে- “আজ কয়েকটি পত্রিকায় শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত কয়েকটি ইসলামী ব্যাংককে ক্লিয়ারিং হাউজ বা নিকাশ ঘর থেকে বিরত বা বিচ্ছিন্ন রাখার খবরের বিষয়ে সকালের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকাশ ঘর পরিচালিত হয় পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ হতে এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের চলতি হিসাবে ক্লিয়ারিং সেটেলমেন্ট ছাড়াও অন্যান্য সকল ধরণের লেনদেন যেমন সরকারি সিকিউরিটিজ, কলমানি ইত্যাদি লেনদেন সম্পন্ন হয়। ফলে দিন শেষে যে কোন ব্যাংকের স্থিতি ঋণাত্বক হতে পারে এবং সেক্ষেত্রে বিডি ম্যানুয়াল ১৯৪৫ এ বর্ণিত নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলো দিন শেষে বা পরবর্তী সময়ে সমন্বয় করে থাকে। এটি একটি চলমান এবং নিয়মিত প্রক্রিয়া যা বহুদিন থেকেই অনুসৃত হয়ে আসছে।”
এর প্রতিবাদে ব্যাংকগুলো বিবৃতিতে জানায়- দেশের ব্যাংকিং খাত অস্থিতিশীল করতে এ ধরনের অসত্য, বিভ্রান্তিকর, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলো সকল গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ীকে এ ধরনের অসত্য সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করেছে।