গাজীপুরে ট্রেনে নাশকতা নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটা নির্বাচন বিরোধী ষড়যন্ত্র। এই নাশকতার লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে দেশের ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন। নাশকতার মাধ্যমে এই নির্বাচনকে বানচাল করা তাদের লক্ষ্য। রেলে নাশকতা ও আগুন সন্ত্রাস করে তারা দেশে কোন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়? এটাই প্রশ্ন। বুধবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নাশকতা ও ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও সারা দেশের মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে নির্বাচন বিরোধী সব অপকর্মের জবাব দেবে আওয়ামী লীগ। আমরা সতর্ক পাহারা জোরদার করছি।

নির্বাচন বানচালে বিএনপি-জামায়াত গভীর ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে তারা গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। কিছু প্ল্যানও আছে তাদের। তারা চায় গুপ্ত হত্যা, গুপ্ত হামলা এবং বাসে ট্রেনে আগুন দিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করা। এসব অপকর্ম বিএনপি ও তাদের দোসররা করতে চায়।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ত্রুটিমুক্ত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকায় চারজন প্রার্থী রয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়ে আপস করার সুযোগ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি বলেছে নির্বাচন করতে চায়, জোটে থাকতে চায়। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কথা তারা বলেনি। তবে আশঙ্কা থাকতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিত হতে চাই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আওয়ামী লীগ উঠাবে না। স্বতন্ত্র ইস্যুতে শরিকদের সঙ্গে আপস করার সুযোগ নাই।

তিনি বলেন, নির্বাচন সফল, শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে। ব্যাপক ভোটার উপস্থিত নিশ্চিত করতে হবে। এটা আমাদের অঙ্গীকার। সমমনাদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আফজালহোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা.রোকেয়া সুলতানা, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।