তুরস্কে নির্মানাধীন প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের এক নম্বর ইউনিটকে কমিশনিং পারমিট প্রদান করেছে দেশটির কাউন্সিল অফ দা নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি এজেন্সী। এই পারমিট পাওয়ার ফলে আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিটটির স্টার্টআপ এবং সমন্বয়ের কাজ শুরুর পথ উন্মুক্ত হলো। উল্লেখ্য, বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মানে এটিই হচ্ছে শেষ ধাপ। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রসাটমের একটি প্রতিষ্ঠান আকুইয়ু নিউক্লিয়ার জেএসসি ‘বিল্ড, ওন এন্ড অপারেট’ ভিত্তিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
পারমিট প্রাপ্তির লক্ষ্যে ১৭ মার্চ ও ২৪ আগস্ট ২০২৩ দুই ধাপে তুর্কি নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার কাছে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রদান করা হয়। নির্মানকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে উল্লেখিত বিদ্যুৎ ইউনিটিটি কমিশনের জন্য প্রস্তুত এই মর্মে প্রদানকৃত প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট বিবেচনা ও পর্যালোচনার পর কমিশনিং পারমিট অনুমদিত হয়।
লাইসেন্সিং এর পরবর্তী ধাপে এই বিদ্যুৎ ইউনিটের জন্য অপারেটিং লাইসেন্স পেতে হবে, যার ওপর ভিত্তি করেই রিয়্যাক্টরে জ্বালানী লোড করা হবে এবং প্রিকমিশনিং নিয়ন্ত্রণ অপারেশন্স চালানো হবে।
আকুইয়ু নিউক্লিয়ারের প্রধান নির্বাহী আনাস্তাসিয়া জ্যোতিয়েভা জানান, “পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের লাইফ সাইকেলে লাইসেন্সিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। লাইফ সাইকেলের প্রতিটি ধাপ যেমন সাইট নির্বাচন, নকশা প্রনয়ন, নির্মান, অপারেশন এবং ডিকমিশনিং এর অন্তর্ভূক্ত। আকুইয়ু এনপিপি’র প্রথম ইউনিটের জন্য কমিশনিং পারমিটের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছে যে, আমরা সকল তুর্কী আইন এবং আন্তর্জাতিক মানদন্ড মেনেই প্রকল্পটি নির্মান করতে সফল হয়েছি”।
তুরষ্কের প্রথম আকুইয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে মোট চারটি ইউনিট স্থাপিত হবে, যার প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০মেগাওয়াট। প্রকল্পটির জন্য বেছে নেয়া হয়েছে ৩+ প্রজন্মের অত্যাধুনিক রুশ ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর, যেগুলো সকল আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম। বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও একই ধরণের রিয়্যাক্টর স্থাপিত হয়েছে।