তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তফসিল ঘোষণার আগে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়া
শুরু হওয়ার সময় অনেক ধরণের শঙ্কা-আশঙ্কার কথা অনেকে ব্যক্ত করা হয়েছিলো। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবে কি না, তা নিয়েও নানা জনের নানা মত ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, অনেক দেশ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসার আগ্রহ জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ দেশি-বিদেশি সংস্থার পাশাপাশি ভারত, জাপান, ফিলিস্তিন, ওআইসি এবং আরব লীগ পর্যবেক্ষক পাঠাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। অর্থাৎ সব সময় যেভাবে পর্যবেক্ষকরা আসে ঠিক একই ভাবেই এবারের নির্বাচনেও পর্যবেক্ষকরা আসবেন। এতেই প্রমাণিত হয় আজকে যে দেশে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। দেশে নির্বাচনী ঢেউ বয়ে যাচ্ছে, নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, মানুষ এবং দেশ পুরোপুরিভাবে নির্বাচনমুখি হয়ে পড়েছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আগমন ভালো ও নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। নানাজনের শংকার প্রপাগান্ডায় পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি পাঠাবে না, সে নিয়ে দোলাচলের মধ্যে ছিলতারা, তারাও এখন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি মনে করি যে, এই নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের আগমন একটি স্বচ্ছ, সুন্দর, ভালো নির্বাচন করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সহায়ক। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায় এবং এখনও যারা নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার জন্য ক্রমাগতভাবে অবরোধ ডাকছে তারাও বুঝতে পেরেছে যে, জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি ভালো নির্বাচন হতে যাচ্ছে দেশে।

নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও শক্তিশালীভাবে কাজ করছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা ইতিমধ্যেই দেখেছেন নির্বাচন কমিশন অত্যন্ত বলিষ্ঠ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যেমন, বিভিন্ন থানার ওসিদের বদলি, ইউএনওদের বদলি এমন কি ডিসিদেরও বদলি। আগের নির্বাচন কমিশনগুলোর সময় এতো ব্যাপকহারে বদলি ঘটেনি। এমন কি ডিসি বদলির ঘটনাও কদাচিৎ দু’একবার ঘটেছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে, পরিপূর্ণভাবে স্বাধীন নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে এ ধরনের পদক্ষেপে সেটিই প্রমাণ হচ্ছে।

তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী বারংবার এটি পুণর্ব্যক্ত করেছেন যে, নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্নক ভাবে সহায়তা করা হবে, যাতে করে একটি স্বচ্ছ, সুন্দর উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে গণমাধ্যমের বড় ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, একটি উৎসবমুখর পরিবেশে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে ও অনলাইন গণমাধ্যমে নির্বাচনী খবরাখবর প্রচার এবং নির্বাচনী উৎসব যে গ্রামে গঞ্জে শুরু হয়ে গেছে সেটি প্রচার করলে এই উৎসবের মাত্রা আরো বেড়ে যাবে, নির্বাচনে মানুষের অংশগ্রহণও বাড়বে।