তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মৃত্যু হয় তার।

মইনুল হোসেনের মৃত্যুর বিষয়টি তার জুনিয়র ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মইনুল হোসেন গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পালন করেন।

ব্যারিস্টার মইনুল সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ছেলে। তিনি ১৯৪০ সালের জানুয়ারিতে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।

মইনুল হোসেন ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেন। পরে লন্ডনের মিডল টেম্পল থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন। তিনি ১৯৬৫ সালে তিনি ব্যারিস্টার-ইন-ল ডিগ্রি অর্জন করেন।

জামায়াতের শোক

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ শোক প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ইন্তেকালে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি ২০০৭ সালে ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠায় তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদ-এর সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ২০০০-২০০১ মেয়াদে সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একজন সৎ, উদার ও গণতন্ত্রমনা ব্যক্তি ছিলেন। তিনি কখনো গণতন্ত্রের সাথে আপস করেননি। তিনি দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার অবদান জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

আমি তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।