আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের অংশীদার বিএনপি।

তিনি আজ ৯ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা, গণতন্ত্রকে সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো এবং এ পথকে মসৃণ করার লক্ষ্যে আমরা বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বারবার এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন—আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ। সুতরাং নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে আমরা মনে করি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, গুপ্ত হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও, গুপ্ত হামলা, এদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে আসেনি, অংশ নেয়নি। নির্বাচনের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলন এ যাবৎ ব্যর্থ হয়েছে। ব্যর্থ আন্দোলন করে তারা ক্ষান্ত হয়নি, তারা এখন নাশকতার পরিকল্পনা করছে, বাস পোড়াচ্ছে, গুপ্ত হামলা চালাচ্ছে, গুপ্ত হত্যা করছে, ট্রেনে আগুন দিচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০টি পরিবহনে তারা আগুন দিয়েছে। লাইনের ওপর দাঁড়ানো ট্রেনও রেহাই পায়নি, তারা আগুন দিয়েছে।

মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি সারা দেশে কর্মসূচির নামে নাশকতা করার পরিকল্পনা নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা নির্বাচনের পক্ষের শক্তি, তাদের অনুরোধ করছি, আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে এই নাশকতা, গুপ্ত হত্যা, অগ্নি সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে সতর্ক-সজাগ থাকবেন।

আমাদের দলের নেতাকর্মীদেরও সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে, যেন বিএনপি কর্মসূচির নামে কোথাও কোনো নাশকতা করতে না পারে।

নির্বাচনকে ঘিরে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব নিয়ে আমরা বিচলিত নই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনের পরেও বিভিন্ন রকমের চাপ আসতে পারে। বাংলাদেশে দুর্ভিক্ষ সৃষ্টির অশুভ পরিকল্পনাও তাদের রয়েছে। এসব মোকাবিলা করার মতো মানসিক শক্তি, রাজনৈতিক শক্তি, দৃঢ়তা আমাদের আছে। আওয়ামী লীগ বারে বারে ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই আজকের আওয়ামী লীগ। এই আওয়ামী লীগের পথ-পরিক্রমা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই বারে বারে আমরা গণতন্ত্রের সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়েছি। এখনো গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার যে লড়াই, সেই লড়াইয়ে যত বাধাই আসুক, যত ষড়যন্ত্রই হোক, আমরা এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে অবশ্যই সফল করবো। তিনি আরও বলেন, নেত্রী যা বলেছেন, অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে আমরা সকলেই সচেষ্ট।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন ও মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ।