নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে দ্বিতীয় দফায় আরও ১০০ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বদলি করা হচ্ছে।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি তালিকা অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে প্রথম ধাপে গত সোমবার একদিনেই ৪৭ জন ইউএনওকে বদলি করা হয়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কাজটি ধাপে ধাপে হচ্ছে। ১০০ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছি। কমিশন থেকে তা চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি আরও জানান, কয়েক দিনের মধ্যে জনপ্রশাসনের রদবদল শেষ হয়ে যাবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে যে কোনো সময় যে কাউকে বদলির ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদলির কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। তবে অনিয়মের নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন যখন তখন ডিসি বদলির নির্দেশ দিতে পারে।
যারা এক বছরের বেশি ইউএনও হিসেবে কর্মস্থলে ছিলেন, তাদেরই বদল করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন যেভাবে বলেছে, সে অনুসারে বিভাগীয় কমিশনাররা তালিকা তৈরি করছেন।
নির্বাচন কমিশন আমাদের যা করতে বলবে, আমরা তা-ই করব বলে জানান এই অতিরিক্ত সচিব। এ অল্প সময়ের মধ্যে এতগুলো বদলি করা সম্ভব কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবই সম্ভব। অসম্ভব বলে কোনো কথা নেই। তবে ২০০ জনের মতো ইউএনও বদলি হতে পারে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে দেশের সব ইউএনওকে পর্যায়ক্রমে বদলি করার সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। ইউএনওদের বদলির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গত ৩০ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।
তাতে বলা হয়, প্রথমপর্যায়ে যেসব ইউএনওর বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, তাদের অন্য জেলায় বদলির প্রস্তাব ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ইসিতে পাঠানো প্রয়োজন। ইউএনওদের পাশাপাশি সব থানার ওসি পর্যায়ক্রমে বদলির নির্দেশ দেয় ইসি। তবে ওসিদের তালিকা ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বলা হলেও আরও তিন দিন সময় বাড়িয়ে ৮ ডিসেম্বর করা হয়েছে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর। ১ ডিসেম্বর থেকে বাছাই শুরু হয়, বাছাই চলে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।