হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন হামাসের ১০ বন্দীর বিনিময়ে ইসরাইলের ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয়ার কথা। প্রথম ছয় দিন এই নিয়মই কার্যকর ছিল। কিন্তু সপ্তম দিনে তথা বৃহস্পতিবার চিত্রে ভিন্নতা দেখা গেল। হামাস মুক্তি দিয়েছে আটজনকে। আর ইসরাইল দিয়েছে ৩০ জনকে। অর্থাৎ হামাস নির্ধারিত দুজনকে কম মুক্তি দিয়েছে। ইসরাইল কেন দুজন কম নিলো? আর চুক্তি অনুযায়ী, কেন ২৪ জনকে না দিয়ে ৩০ জনকেই দিলো মুক্তি?

ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৃহস্পতিবার ভয়াবহ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। প্রাথমিক চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিদিন যুদ্ধবিরতিতে হামাস ১০ জন বন্দীকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরাইল এর তিনগুণ তথা ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।

বৃহস্পতিবার নতুন এক দিনের যুদ্ধবিরতির সময় হামাস আট ইসরাইলি এবং দুই লাশ (তারা গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত হয়েছে বলে হামাস দাবি করেছে) ফেরত দিতে চায়। কিন্তু ইসরাইল লাশ দুটি গ্রহণ করতে চায়নি।

পরে যে সমঝোতা হয়, তাতে বলা হয় যে হামাস ১০ ইসরাইলিকেই মুক্তি দেবে। তবে হামাসের হাতে এই পর্যায়ে মুক্তি দেয়ার মতো বন্দী ছিল না। ফলে বুধবার তারা অতিরিক্ত যে দুজন রুশ-ইসরাইলি নারীকে মুক্তি দিয়েছিল শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে, সেটাকেই যুদ্ধবিরতির মুক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। এবং এর মাধ্যমে ১০ জনের কোটা পূর্ণ করা হয়। কিন্তু তারা লাশ দুটি গ্রহণ করেনি।

এখন যুদ্ধবিরতির নতুন পর্যায় শুরু হতে পারে। এবার ইসরাইলি পুরুষ এবং সৈন্যদের মুক্তি পাওয়ার পালা। এবর নতুন করে মুক্তির বিনিময়মূল্য নির্ধারিত হবে বলে মধ্যস্ততাকারীরা জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে হামলা চালিয়ে প্রায় ২৪০ জনকে বন্দী করে হামাস।

বৃহস্পতিবার হামাস যে আটজনকে মুক্তি দিয়েছে, তাদের মধ্যে বেলাল এবং আয়েশা আল-জিয়াদনা নামের দুজনও ছিল বলে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে বলা হয়েছে। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৮ ও ১৭ বছর। তারা ইসরাইলের বেদুইন আরব নাগরিক। সম্পর্কে তারা ভাই-বোন। তারা ওই সময় একটি খাবারে গরুর দুধ দুইছিল। ওই পরিবারের মোট চারজনকে ওই দিন বন্দী করেছিল হামাস।