মিরসরাইয়ে জিয়াউল হাসান জুয়েল (২২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জুয়েল ওই ইউনিয়নের হাদিমুছা এলাকার এলাকার মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাতে দারোগারহাট বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। কিছুদিন আগেও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জুয়েলর সঙ্গে প্রতিপক্ষের লোকজনের ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঘটনার জেরে তিনি খুন হতে পারেন।
মিঠানালা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছি। তবে কে বা কারা তাকে খুন করেছে সেটি জানি না।
মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. ফাহিম জামাল বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই জুয়েলের মৃত্যু হয়। আমরা পুলিশকে খবর দিলে তারা মরদেহ নিয়ে যায়।
মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসদু করিম রানা বলেন, জুয়েল ছাত্রলীগের কর্মী। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আকতার হোসেন, মিরসরাই প্রতিনিধি