প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশ একটা সঙ্কটে আছে। বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে আছে। এই সঙ্কট থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এখানে সবাইকে সমভাবে দায়িত্বশীল হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সোমবার সকালে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটির প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের গণতন্ত্রে মাঝে মাঝে ধাক্কা আসে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে। একটি দেশ বা জাতি একটি প্রজন্মকে নিয়ে থেমে থাকবে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আসতে থাকবে। আমেরিকার গণতন্ত্র আড়াই শ’ বছরের। বিলেতের গণতন্ত্র তিন শ’ থেকে চার শ’ বছরের। বিলেতের ইতিহাস হয়তো দেড় হাজার থেকে দুই হাজার বছরের। কিন্তু তাদের গণতন্ত্র টিকে আছে কমপক্ষে তিন শ’ বছর ধরে। আমাদের গণতন্ত্র কিন্তু নতুন। মাঝে মাঝে ধাক্কা আসে। সামরিক শাসন, গণঅভ্যুত্থান ইত্যাদি হয়ে সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এখনো স্থিরভাবে আমরা ৫০ বছর এগুতে পারিনি।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে চাই ভোটাররা আসছেন বা আসতে পারছেন। পথে বা বাড়িতে কেউ তাদের বাধা দিচ্ছে না। যদি বাধা দেয়া হয়, তাহলে নির্বাচন প্রভাবিত হয়ে যায়। নির্বাচন অবাধ হলো না। আমরা দেখতে চাই তারা সকল কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে, নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। নির্বাচন ঘিরে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন জনগণকে গ্রহণ করতে হবে। যদি মানুষ বলে ভোট ভালো হয়েছে। তবে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। আমরা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই। অর্থনীতিসহ অনেক কিছু ঠিক রাখতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন লাগবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিদেশী থাবা আছে, আমাদের সেটি মাথায় রাখতে হবে। বিদেশীদের বেশি কিছু চাওয়া নেই। আমাদের নির্বাচন গ্রহণযোগ্য দেখতে চায় তারা।
তিনি বলেন, কমিশন কখনই এককভাবে নির্বাচন করতে পারে না। প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। সবার সৎ ও সাহসী মনোভাব দরকার। আমরা আশা করব, আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, আচরণবিধি কেউ লঙ্ঘন করছে কি না দেখবেন। আপনারা সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করবেন। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা রক্ষায় আপনারা যতদূর পারেন সাহায্য করবেন।