গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন নিয়ে ব্রিকস গ্রুপের ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ আলোচনায় অংশ নেবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ক্রেমলিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভার্চুয়াল এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, ২১ নভেম্বর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংঘাত নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি অন্যরকম ব্রিকস সম্মেলনে (ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে) অংশ নেবেন।
রাশিয়া ছাড়াও ব্রিকস গ্রুপে রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে যে- জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নেবেন এবং এটি একটি যৌথ বিবৃতি দিয়ে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাশিয়া ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি উভয়ের সাথে ঐতিহাসিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এজন্য পুতিন বলেন যে- রাশিয়া মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করতে পারে।
এদিকে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলার কমপক্ষে ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ৮ হাজারের বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজারেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। এ সময় ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে।
বস্তুত, ১৯৫৩ সালের পর এই প্রথম এত বড় মাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আল আকসা অঞ্চলে।
সূত্র : দ্যা নিউজ ইন্টারন্যাশনাল