বিএনপি- জামায়াতের ডাকা চলমান অবরোধের দ্বিতীয় দিনে পাবনার ঈশ্বরদীতে কলকাতা থেকে ঢাকাগামী আন্তর্জাতিক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া-লোকোশেড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতাকর্মীরা বুধবার ( ১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে চলন্ত ট্রেনে পেট্রোল বোমা, পাথর ও ইট ছুঁড়লে জানালা ভেঙ্গেচুড়ে যায়। তবে কোন যাত্রী হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১৫-১৬ জনের একদল যুবক মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদী স্টেশন ছেড়ে ঢাকা অভিমূখে যাওয়ার সময় ট্রেনে ককটেল, পেট্রল, পাথর ও ইট ছোঁড়ে। এতে ট্রেনের জানালার দুটি গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। ট্রেনটি না থেমে দ্রুতগতিতে ঢাকা অভিমুখে চলে যায়।
ঈশ্বরদী জংশনের সুপারিনটেন্ড মহিবুল ইসলাম জানান, কলকাতা থেকে ঢাকাগামী মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১.৫০ মিনিটে ঈশ্বরদী স্টেশন ত্যাগ করে। ট্রেনটি ১১.৫৫ থেকে ১২টার দিকে ঈশ্বরদীর শৈলপাড়া-লোকোশেড এলাকা অতিক্রম করার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। তবে চালক ট্রেনটি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে চলে যায়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী (২) বীরবল মন্ডল ট্রেনে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনের অদূরে লোকোসেড অতিক্রম করার সময় ট্রেনের ৭২১৯ কোচে ঢিল ছুঁড়ে। এতে জানালার দুইটি গ্লাস ভেঙ্গে গেছে। যাত্রীদের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জেনেছি।
পাকশী রেলওয়ে পুলিশ সুপার সাহাব উদ্দীন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদীর লোকোসেড অতিক্রম করার সময় কিছু দুস্কৃতকারী ট্রেনে হামলা চালিয়ে জানালা ভাংচুর করে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রেল পুুলিশ ও রেলের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো। পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অর্থ) মাসুদ আলম বলেন, ট্রেন লক্ষ্য করে দুটি ককটেল নিক্ষেপ করার খবর পেয়েছি।
সংবাদ পেয়ে পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী, ঈশ্বরদীর ইউএনও সুবীর কুমার দাশ, ঈশ্বরদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোস্বামী, থানার অফিসার ইনচার্জ অরবিন্দ সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ মিন্টুসহ র‌্যাব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।