বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিতে মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছান তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত ঢাকায় মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের সঙ্গে ভার্চুয়ালি বৈঠকের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের যে চিকিৎসকদের সঙ্গে তারা এতদিন সমন্বয় করছিলেন, তাদের মধ্য থেকে তিনজন আজ ঢাকায় আসবেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে মঙ্গলবারও করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) প্রায় ৮ ঘণ্টা রাখার পর আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে। ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। এর আগেও চার দফায় তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গত ২ মাসের বেশি সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বারবার সরকারের কাছে বলার পরও কোনো ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। এ অবস্থায় পরিবার ও দলের পক্ষ থেকে বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
বিদেশি চিকিৎসকদের আসার ব্যাপারে এরই মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ঢাকার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বিদেশি চিকিৎসক আনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের তিন চিকিৎসকের আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদেশ থেকে চিকিৎসক আনার ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হয়।
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক কিছু জটিলতা বেড়ে যাওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে তাকে কেবিন থেকে মঙ্গলবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে সিসিইউতে নেওয়া হয়েছিল। এরপর তার শ্বাসকষ্টের সমস্যা কিছুটা কমলে ৮ ঘণ্টা পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আবার কেবিনে নেওয়া হয়েছে।
৯ অক্টোবর বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, ‘খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছে। তার যে অবস্থা, তাতে তাকে বাসায় নেওয়া যাবে না। এখানকার চিকিৎসকরা সাধ্য অনুযায়ী যা করার, করেছেন। এখন তাকে বিদেশে নিতেই হবে। এতে তার জীবন রক্ষা পেতে পারে।’ খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে অনেক দিন ধরে তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়ে আসছে।