গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ার হোমস শহরে সামরিক একটি একাডেমিতে ড্রোন হামলায় অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই সামরিক একাডেমির স্নাতক ডিগ্রিধারী। এছাড়া বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন ১৪ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ২৪০ জন।

সিরিয়া যুদ্ধের পর্যবেক্ষক সংস্থা দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। ওই সামরিক একাডেমিতে বৃহস্পতিবার ক্যাডেটদের গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠান চলছিল। এমন সময় এই ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে।

সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। হামলার মাত্র কয়েক মিনিট আগে তিনি সেখান থেকে চলে যান। সিরিয়ার সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, অনুষ্ঠানের শেষ দিকে বিস্ফোরক ভর্তি একটি ড্রোন হামলা চালায়। একটি বিদেশি রাষ্ট্রের মদদে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বিবৃতিতে। তবে সেই দেশের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল কমান্ডের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলার কড়া জবাব দেওয়া হবে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে সরকার। শুক্রবার থেকে এই শোক শুরু হয়েছে। এদিকে সিরিয়া সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাসান আল-ঘাবাশ নিহতের সংখ্যা ৮০ জন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।

জাতিসংঘের বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন এই হামলাকে ‌‘ভয়াবহ’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সব পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, সব পক্ষকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে তাদের বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করতে হবে। বেসামরিক ও বেসামরিক অবকাঠামোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।