খালেদা জিয়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মহানুভবতা দেখিয়ে চলেছেন তা নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের দিন নিজের মিথ্যা জন্মদিন পালন করে কেক কেটেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় মদদ দিয়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছেন, ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করেছেন, সেই প্রতিহিংসা পরায়ণ খালেদা জিয়া প্রতি মহানুভবতা দেখাচ্ছেন শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে সরকার কোনভাবেই ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছে না। আর তারা যদি তা মনে করে তাহলে তো আদালতে যেতে পারে। আর খালেদা জিয়ার প্রতি যথাযথ সম্মান রেখেই বলতে চাই, তার কি পরিমাণ দম্ভ, অহমিকা, যে তার পুত্রবিয়োগে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ির দুয়ারে দেশের প্রধানমন্ত্রী গিয়ে ২০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে ছিলেন, তিনি দরজা খোলেননি।

মন্ত্রী জানান, খালেদা জিয়ার আমলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ১২টা মামলা দায়ের করা হয়েছিল, আমাদের সরকার তো খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করে নাই। তার বিরুদ্ধে সবগুলো মামলা সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের। সেই সব মামলার বিচার হচ্ছে, তাতেই তিনি সাজা খাটছেন।

ড. হাছান বলেন, শুধু তাই নয়, খালেদা জিয়ার নির্দেশে এফবিআইয়ের এজেন্ট লাগিয়ে প্রধানমন্ত্রীর পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমেরিকায় অপহরণ করার পরিকল্পনা হয়েছিল। পরে চক্রান্ত ফাঁস হয়ে যায়, সেই এজেন্টের এখন বিচার হচ্ছে।

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবাহিত ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, ছাত্রীরা বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না এমন সিদ্ধান্ত আমার দৃষ্টিতে একেবারেই অযৌক্তিক। পাশাপাশি এ যুগে বিশ্ববিদ্যালয় বাসে ছাত্রীরা এক জায়গায় বসবে, ছাত্ররা আরেক জায়গা বসবে -সেটিও তো অবাস্তব একটি সিদ্ধান্ত। এ ধরণের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষ কিভাবে নেয় এটা আমার বোধগম্য নয়। আমি এটা শিক্ষামন্ত্রীর নজরে আনব। কারণ এর উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ শিক্ষামন্ত্রী।