আগে থেকেই লাইনে ছিল একটি ট্রেন। একই লাইনে চলে আসে আরেকটি ট্রেন। কিন্তু কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। মুখোমুখি হওয়ার আগেই দক্ষতার সঙ্গে চলন্ত ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী রেলওয়ে স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

বিদ্যুৎ না থাকায় সিগন্যাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা।

একাধিক সূত্র জানায়, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদীগামী সিক্স ডাউন মেইল ট্রেনটি আড়ানী রেলস্টেশনে ১ নম্বর লাইনে অবস্থান করছিল। আর ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ধূমকেতু ট্রেনটি ২ নম্বর লাইনে অবস্থান করার কথা ছিল। কিন্তু এই ট্রেনটি ১ নম্বর লাইনে ঢুকে পড়ে। এতে দুটি ট্রেন মুখোমুখি হয়ে যায়। কিন্তু ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনটি দেখতে পেয়ে আন্তঃনগর ধূমকেতু ট্রেনের চালক মোস্তাফিজুর রহমান মুখোমুখি হওয়ার ২৫ গজ দূরেই ট্রেন থামিয়ে দিতে সক্ষম হন। এ সময় উভয় ট্রেনের যাত্রীরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন।

আন্তঃনগর ধূমকেতু ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছাড়ে সকাল সাড়ে ৬টায়। আড়ানী স্টেশনে থামার কথা ১০টা ৫৫ মিনিটে। কিন্তু দেরিতে আসার কারণে ট্রেনটি আড়ানী স্টেশনে পৌঁছায় ১২টা ২৭ মিনেটে। অন্যদিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ঈশ্বরদীর সিক্স ডাউন মেইল ট্রেনটি আড়ানী স্টেশনে পৌঁছায় ১১টা ৩৮ মিনিটে। পরে আসা আন্তঃনগর ধূমকেতু ট্রেনটি এই লাইনে ঢুকে পড়ে। মুখোমুখি হওয়ার কারণে আড়ানী স্টেশন থেকে ১২টা ৫২ মিনিটে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি। ঈশ্বরদীগামী সিক্স ডাউন মেইল ট্রেনটি ছাড়ে পরে।

স্থানীয় বাসিন্দা সাকিল হোসেন জানান, যাত্রীদের ছোটাছুটি দেখে তিনি গিয়ে দেখেন একই লাইনে দুটি ট্রেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে যাত্রীরা বেঁচে গেছে।

পয়েন্ট তৈরি করতে যাওয়ার সময়ে আন্তঃনগর ধূমকেতু ট্রেনটি একই লাইনে ঢুকে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্টেশনের পয়েন্টম্যান কিরন।

স্টেশন মাস্টার মোশারফ হোসেন বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় সিগন্যাল দেওয়া সম্ভব হয়নি। উভয় ট্রেন গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।