শর্ত সাপেক্ষে বিশ্বকাপে খেলতে চান তামিম ইকবাল। কারণ পুরো ফিট নন তিনি। অন্যদিকে আনফিট খেলোয়াড়কে দলে রাখার পক্ষে নন সাকিব আল হাসান। আর দলের মধ্যে এমন অসন্তোষ থাকলে অধিনায়কত্ব করতে চান না সাকিব। দেশের প্রথম সারির এক জাতীয় দৈনিকের খবরে এমনটাই বলা হয়েছে।
গতকাল ছুটি কাটিয়ে ফিরেছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ঢাকায় ফিরেই মধ্যরাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় দেখা করতে যান প্রধান কোচ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাকিবও। ওই আলোচনায় বিশ্বকাপের আগেই নেতৃত্ব ছাড়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে তারা বলেছে, বিশ্বকাপে সাকিব অধিনায়ক থাকতে চান না। কারণ হাফ ফিট কোনো খেলোয়াড় নিয়ে সাকিব বিশ্বকাপে যেতে চান না।
শুরুতে সেটি ছিল তামিম ইকবালের খেলা বা না খেলা নিয়ে। এই উদ্বোধনী ব্যাটার পাঁচ ম্যাচ খেলতে চান, এমন খবর ছড়ালেও বিষয়টি ছিল ভিন্ন। দীর্ঘদিন পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাট করে পিঠে অস্বস্তি বোধ করার কথা জানান তিনি।
সেটিই পরে নির্বাচকদের কাছে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। যাতে অস্বস্তিতে পড়েছে নির্বাচক প্যানেলও। এখন আবার নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে। জানা গেছে, বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করতে চান না এই অলরাউন্ডার। এশিয়া কাপের সময়ই নেতৃত্ব দিতে না চাওয়ার কথা বোর্ডকে জানিয়েছেন সাকিব।
সেখানে অবশ্য তামিম ইকবাল কোনো ইস্যু নন বলেই বিভিন্ন সূত্রের দাবি। বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে না দল, এমন ভাবনা থেকেই সরে দাঁড়ানোর চিন্তা সাকিবের। সঙ্গে কিছু ব্যক্তিগত বিষয়ও রয়েছে। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে সাকিবকে নেতৃত্ব রাখতে চাচ্ছে বিসিবি।
এ নিয়েই সোমবার দিবাগত রাতে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় বৈঠকে বসেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও সাকিব। তিন ফরম্যাটেই অধিনায়কত্ব করা অলরাউন্ডারকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন তারা। মঙ্গলবারও একই চেষ্টা চলবে বলে জানা গেছে।
শেষ অবধি সাকিব অধিনায়কত্ব না করলে কে দেবেন নেতৃত্ব? এ আলোচনায় সবার আগে আসার কথা লিটন দাসের। তিনি দলের সহ-অধিনায়কও। তবে অফ ফর্মে থাকা এই ব্যাটার এখন নেতৃত্ব নিতে চাচ্ছেন না। সেক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন তৃতীয় ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া নাজমুল হোসেন শান্ত।