ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে হাঙ্গেরিয়ান জাতিগোষ্ঠীর অধিকার পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত যে কোনো আন্তর্জাতিক ইস্যুতে কিয়েভকে সমর্থন করবে না হাঙ্গেরি বলে হুমকি দিয়েছেন ন্যাটো মিত্র হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান।

সোমবার দেশটির পার্লামেন্টে তিনি ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন। খবর আলজাজিরার।

ভিক্টর অরবান বলেন, সুইডেনের ন্যাটো যোগদানের বিষয়ে সম্মতি দিতে কোনো তাড়া নেই হাঙ্গেরির।

তিনি বলেন, সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদানে তাড়া দেওয়ার মতো যদি কোনো বিষয় থাকতো তাহলে আমি খুশি হতাম। কিন্তু এমন কোনো পরিস্থিতি আমি দেখছি না।

তার এই মন্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছে সুইডেনের ন্যাটোতে যোগদান আরও বিলম্বিত হতে পারে।

ইউক্রেনে বসবাসরত প্রায় দেড় লাখ হাঙ্গেরিয়ানদের মাতৃভাষা ব্যবহার নিয়ে কিয়েভ ও বুদাপেস্টের বিরোধ রয়েছে। ২০১৭ সালে ইউক্রেন একটি আইন পাস করে। এই আইনে বিদ্যালয়ে সংখ্যালঘুদের ভাষার ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সাক্ষাৎকারে হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পিটার সিজ্জার্তো বলেছিলেন, আমরা যদি নিষেধাজ্ঞার বাস্তব দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি, তাহলে দেখতে পাব রাশিয়ার চেয়ে ইউরোপেরই বেশি ক্ষতি হচ্ছে। এ অবস্থায় মস্কোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রয়োজন দেখি না।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভিক্টর ওরবানের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। পুতিনের খুব একটা সমালোচনা করেন না তিনি। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের নিন্দা জানালেও কিয়েভকে কোনো অস্ত্র সহযোগিতা পাঠায়নি বুদাপেস্ট।

এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনীয় শস্য আমদানি ঘিরে কূটনৈতিক বিরোধের কারণে পোল্যান্ড ইউক্রেনকে আর অস্ত্র সরবরাহ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার পরিবর্তে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করার দিকে মনোনিবেশ করবে তার দেশ।

মূলত শস্য আমদানি ঘিরে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে কিয়েভ থেকে খাদ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য প্রতিবেশী তিনটি দেশের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে মামলা করে ইউক্রেন। ওই তিনটি দেশ হচ্ছে- স্লোভাকিয়া, পোল্যান্ড ও হাঙ্গেরি।