রাজধানীর একাধিক থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ নারী ছিনতাইকারী মুক্তা বেগম (৪০) গ্রেফতার হয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় মিরপুর মডেল থানার ১০ নম্বর সেকশনের ওয়াসা ভবনের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি মার্কেটে গিয়ে কোনো মেয়ের সঙ্গে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন, এর পর সুযোগ বুঝে মোবাইল, টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যান। ছিনতাইয়ে নামার আগে বিউটি পার্লার থেকে সাজগোছ করেন তিনি।
রোববার মধ্যরাতে মিরপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন এসব তথ্য জানান।
ওসি জানান, গ্রেফতার মুক্তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি ৭ বার গ্রেফতারও হন। তিনি তার মায়ের কাছ থেকে চুরি শেখেন। মায়ের সঙ্গে থেকেই চুরি করতেন। মা অসুস্থ অবস্থায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়লে নিজেই দল গড়েন মুক্তা। সঙ্গে একজনকে নিয়ে পুরো ঢাকা শহরে ছিনতাই শুরু করেন। মানুষের সন্দেহ এড়াতে তিনি অভিনব এক কৌশল গ্রহণ করেন। প্রতিবার ছিনতাইয়ে বের হওয়ার আগে বিউটি পার্লারে গিয়ে সেজে আসেন তিনি। বিউটি পার্লারের সাজ এবং বেশভূষা দেখে উচ্চবিত্ত মহিলা মনে হওয়ায় সহজেই কেউ সন্দেহ করে না তাকে। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ছিনতাই করে যাচ্ছেন মুক্তা।
পুলিশ জানায়, রোরবারও পুরনো কায়দায় শাওন আফরোজ নামের এক মেয়ের মোবাইল ও ব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন মুক্তা। শাওনের চিৎকারে আশেপাশের লোক এসে মুক্তাকে আটক করে। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে মিরপুর মডেল থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।