যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান তাদের কাছে থাকা পাঁচজন করে বন্দী বিনিময়ের কাজ করেছে। এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ইরানের ছয় বিলিয়ন ডলার হস্তান্তর করার ব্যবস্থা করে যুক্তরাষ্ট্র। দুদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি বড় ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

ইরান থেকে মুক্তি পাওয়া পাঁচ বন্দী ইতোমধ্যেই তেহরান থেকে কাতারের দোহায় পৌঁছেছে। বন্দীদের সাথে দুজন পরিবার সদস্যও রয়েছে বলে হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে জানিয়েছেন।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আটক পাঁচ বন্দীর দুজন দোহায় পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আটক বাকি তিন ইরানিকেও মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তারা এখনো দেশের পথে রওনা হয়নি বলে জানা গেছে।

সমঝোতার আওতায় যেসব ইরানি বন্দী মুক্তি পেয়েছেন তাদের মধ্যে রেজা সারহানপুর কাফরানি ও কামবিজ আত্তার কাশানি (উভয়ে তেহরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অবরোধ লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত), কাভেহ লুতফোলাহ আসরাসিয়াবি (ইরানি সরকারের অ্যাজেন্ট হিসেবে আটক), মেহরদাদ মইন আনসারি ও আমিন হাসানজাদে (ইরানি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ থাকার অভিযোগে আটক)।

পাঁচ আমেরিকান বন্দীর মধ্যে রয়েছে সিয়ামাক নামাজি (ক্রিসেন্ট পেট্রোলিয়ামে স্ট্র্যাটেজিক প্লানিংয়ের প্রধান হিসেবে কর্মরত থাকার সময় ২০১৫ সালে গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের মধ্যে রয়েছে শত্রু রাষ্ট্রের সাথে সহযোগিতা করা), ইমাদ শারজি (গুপ্তচরবৃত্তি), মুরাদ তাহবাজ (ইরানের গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার)। অপর দুজনের নাম তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

চুক্তিটি নিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাতারে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়। ৯ রাউন্ড আলোচনার পর দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠিত হয়।

এদিকে ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান জানিয়েছেন, তারা দোহা থেকে নিশ্চিত হয়েছেন যে দক্ষিণ কোরিয়ায় জব্দ হওয়া ছয় বিলিয়ন ডলার কাতারে স্থানান্তর করা হয়েছে। ছয়টি ইরানি ব্যাংকের এসব তহবিল জব্দ করা হয়েছিল।

সূত্র : আল জাজিরা, বিবিসি ও অন্যান্য