লোকগানের জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের জেল যাত্রা এখন সময়ের অপেক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রখ্যাত ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তিশঙ্কর বাগচী। বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে অনুষ্ঠান করতে না আসায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর আদালত। এই মামলায় ৮ সেপ্টেম্বর জামিন পান মমতাজ। এরপরই সেই জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শক্তি শঙ্কর বাগচী।

শুধু মমতাজ নয় মমতাজকে জামিন দেওয়ায় বহরমপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাসের বিরুদ্ধেও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে হাইকোর্টে পিটিশন করেছেন বলে জানান শক্তি শঙ্কর বাগচী।

শনিবার শক্তি শঙ্কর বাগচী সমকালকে বলেন, ‘আমি লোয়ার কোর্টে মামলা করেছি, আমি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছি , জাজদের পার্টি করে মামলা করেছি। অর্ডার আমার ফেবারে। আমি বলছি না, আমি সব থেকে বেশি জানি বা সব জানি, পয়েন্টটা হচ্ছে এটাই যে মমতাজের জেল যাত্রা শুধু সময়ের অপেক্ষা, মমতাজ শুধু নয় মমতাজের স্বামী এবং মমতাজের এখানকার যে আইনজীবী সবাই জেলে যাবে এটা সময়ের অপেক্ষা।

তিনি আরও বলেন, হাইকোর্ট আমাকে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে। তারপর আমি মুখ খুলব। হাইকোর্ট বিষয়টা পুরোপুরি জানে। নিম্ন আদালতের যে বিচারক মমতাজকে জামিন দিয়েছেন তিনিও এটা জানেন। তিনিও আইনের লোক। কিন্তু এই মামলায় ফরেন অ্যাক্টটাই এপ্লাই হয়নি। সেখানে ২০৫ ধারা অর্থাৎ আসামির সশরীরে আদালতে হাজিরা না দেওয়ার ক্ষেত্রে আদালত অনুমতি দিয়েছে। যেখানে মমতাজের পাসপোর্ট দু’রকম নামে রয়েছে। হাইকোর্টের অর্ডার রয়েছে মেরিট অনুযায়ী বিচার করতে। এমনকি এর আগে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জামিন বাতিল করেছে। আমি তখনও নিম্ন আদালতের বিচারককে পার্টি করে হাইকোর্টে মামলা করেছিলাম।

উল্লেখ্য, মমতাজের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে মামলা করেন ইভেন্ট অর্গানাইজার শক্তিশঙ্কর বাগচী। তিনি অভিযোগ করেন-২০০৪ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য মমতাজের সঙ্গে তার লিখিত চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে বহরমপুরের একটি অনুষ্ঠানে প্রধান শিল্পি হিসেবে মমতাজকে ১৪ লাখ রুপির বিনিময়ে বায়না করা হয়। কিন্তু মমতাজ টাকা নিয়েও অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। পরে টাকা ফেরত চাইলেও মমতাজ দিতে অস্বীকৃতি জানায়।