পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা-মাওয়া রেলপথে এবার পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করেছে। পাথর বোঝাই করে শনিবার সকালে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে পদ্মা সেতু পার হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় যায় বিশেষ ট্রেনটি। এরপর আবার ভাঙ্গায় ফেরে।

রেললাইনের সক্ষমতা নির্ণয় ও গতি পরীক্ষার জন্য এই প্রথম পদ্মা পার হয়ে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করল।

মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৭টায় ভাঙ্গা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরের মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনের উদ্দেশে পণ্যবাহী ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু হয়। সকাল ৯টা ৬ মিনিটে ট্রেনটি মাওয়া রেলস্টেশনে পৌঁছে।

এ সময় ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাওয়া থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে রওনা হয়ে সাড়ে ১০টায় ভাঙ্গায় পৌঁছায় ট্রেনটি।

ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. শাহজাহান বলেন, দু’বার পদ্মা সেতু পারাপার করে পাথরভর্তি ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হয়।

ট্রেনটির পরিচালক পলাশ হোসেন বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেনের মতো পণ্যবাহী ট্রেনেরও সফল গতি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।

পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে রেল চলাচলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি হিসেবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করছে। গত শুক্রবার সফলভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চালিয়ে গতি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। শনিবার পাঁচটি পণ্যবাহী বগিসহ ইঞ্জিন নিয়ে আমরা গতি পরীক্ষা করেছি। প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ টন পাথর নিয়ে যাত্রা শুরু করি। আমরা মাওয়া গিয়ে আবার ভাঙ্গায় ফিরে আসি। পণ্যবাহী ট্রেনটির সর্বোচ্চ গতি ছিল ৮০ কিলোমিটার।

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুর-ঢাকা পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনীতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্য খুব সহজে ও স্বল্প খরচে ঢাকায় নিতে পারবেন।

এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ঢাকা থেকে প্রথমবারের মতো যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলক ভাঙ্গায় পৌঁছে। পরে গত শুক্রবার পদ্মা সেতু দিয়ে ভাঙ্গা-মাওয়া পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হয়।

আগামী ১০ অক্টোবর পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর কিছুদিন পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।