শাহবাগ থানায় পুলিশের মারধরে আহত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন নাঈমকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন নাঈমের খোঁজখবর নেন তিনি।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, মারধরের ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারা দোষী তা বলা যাচ্ছে না। দুইজন অফিসারকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় পুলিশের মারধরে আহত হন নাঈম। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি। এ সময় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনীমও গুরুতর আহত হন।

ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের থানার ভেতরে নিয়ে বেড়ধক পেটান। ছাত্রলীগ নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে ১০-১৫ পুলিশ সদস্য মিলে তাদের পিটিয়েছেন।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও শেখ ইনান ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা এডিসি হারুনের ‘সর্বোচ্চ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির’ দাবি জানান।

এরই মধ্যে সোমবার পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হারুন অর রশিদকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।