গাজীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান অবৈধ ও অনুমোদনহীন বুস্টার, রিপিটার ও জ্যামারসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করেছে র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্প এবং বিটিআরসি’র যৌথ টিম। টানা তিনদিন ধরে গাজীপুর জেলা সদর, জয়দেবপুর, শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্কে বিঘœসৃষ্টিকারী এসব অবৈধ সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। তবে অভিযানকালে এসবের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নি। শুক্রবার র্যাব-১ এর ওই ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ ইয়াসির আরাফাত হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
মেজর মোঃ ইয়াসির আরাফাত হোসেন জানান, গাজীপুর জেলার ও আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কর্তৃক বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন লিঃ এর অনুকুলে বরাদ্ধকৃত তরঙ্গ ব্যান্ডে সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা সনাক্তকরণ, নিরসন, এবং অবৈধ রেডিও ইকুইপমেন্ট জব্দকরণ ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহষ্পতিবার) পর্যন্ত টানা তিনদিন গাজীপুর জেলা সদর, জয়দেবপুর, শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহের ভালুকা থানার বিভিন্ন এলাকায় র্যাব-১ ও বিটিআরসি যৌথভাবে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হয়।
তিনি জানান, অভিযানকালে গাজীপুরে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তার কিতাব আলী প্লাজার ১টি টাওয়ার, শহিদুল্লাহ কমপ্লেক্সের ২টি টাওয়ার, শ্রীপুর রোডের ১টি টাওয়ার, জৈনাবাজারের ১টি টাওয়ার, জয়দেবপুর থানার বাঘেরবাজারের ১টি টাওয়ার, হোতাপাড়ার ১টি টাওয়ার, মন্ডল গ্রুপের একটি টাওয়ার, সদর থানার সালনা বাজারের ১টি টাওয়ার, মুন্সিপাড়ার রফিক ভবনের ১টি টাওয়ার, হাক্কানী হাউজিং সোসাইটির ১টি টাওয়ার এবং ময়মনসিংহের ভালুকা থানার স্কয়ার মাস্টারবাড়ির ১টি টাওয়ারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এসময় মোট ২টি ইনডোর রিপিটার বুস্টার, ৪টি আউটডোর রিপিটার বুস্টার, ৭৬টি ছোট-বড় বিভিন্ন এ্যান্টেনা, ৫২টি সুইচ এবং ৩টি ইনডোর রিপিটার এ্যান্টেনা জব্দ করা হয়। জব্দকৃত এসব অবৈধ নেটওয়ার্ক সরঞ্জামাদির আনুমানিক মূল্য ৬০ লাখ টাকা। উদ্ধারকৃত আলামত বিআরটিসি’কে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযানকালে এসবের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয় নি।
মেজর মোঃ ইয়াসির আরাফাত হোসেন আরো জানান, যেসব এলাকায় নেটওয়ার্ক দুর্বল, সেসব জায়গায় অবৈধ বুস্টারের মাধ্যমে নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করে থাকে অপরাধী চক্রের সদস্যরা। এ সুযোগে অপরাধী চক্রের সদস্যরা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এ নেটওয়ার্ক বুস্টার কিনে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করতো। এসব অবৈধ ব্যবসায়ী ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান চলমান রয়েছে।
অভিযানকালে বিটিআরসি’র সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন, উপ-সহকারী পরিচালক (এসএম) সরফুদ্দিন চৌধুরী, র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোঃ ইয়াসির আরাফাত হোসেন, স্কোয়াড কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রতন কুমার দাশগুপ্ত উপস্থিত ছিলেন।