উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসে তুরস্ককে নতুন সদস্যপদ দেয়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেছে জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য চীন।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে জোটের শীর্ষ সম্মেলনে ছয়টি নতুন সদস্যদেশ নেয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার এক সপ্তাহেরও বেশি সময় পর বেইজিং আঙ্কারাকে ব্রিকসে নেয়ার পক্ষে মত দিল।

তুরস্কে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লিউ শাওবিন আঙ্কারায় শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তার দেশে এ আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেছেন, বেইজিং ও আঙ্কারা যৌথভাব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে চায়।

চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, গতমাসে আর্জেন্টিনা, মিশর, ইথিওপিয়া, ইরান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ব্রিকসে অন্তর্ভুক্ত করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা ছিল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি প্রত্যাশিত ঐতিহাসিক সূচনা।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের রাশিয়া সফরের মাত্র দু’দিন আগে চীনা রাষ্ট্রদূত তার দেশের এ অব্স্থানের কথা জানালেন। বিকসের পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলন রাশিয়ার কাজান শহরে অনুষ্ঠিত হবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এরদোগান আগামীকাল (সোমবার) সোচি শহরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাৎ করে ব্রিকসে তুরস্কের সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কথা বলবেন।

ব্রিকসে নতুন ছয় সদস্যদেশ নেয়ার সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে ওই ছয় দেশের বাইরে তুরস্ককে সদস্যপদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হলে সেটিও আগামী জানুয়ারি মাসে কার্যকর হবে কিনা তা এখনো স্পষ্ট নয়। রাশিয়া, চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলকে নিয়ে ব্রিকস গঠিত হয়েছে।
সূত্র : পার্সটুডে