প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে নিরলস পরিশ্রম করছেন বলে উল্লেখ করে সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আপনারা যদি হেলিকপ্টার, ট্রেন কিংবা রাস্তা দিয়ে যান, তাহলে কোনো কুড়ে ঘর দেখতে পাবেন না। লাল-সবুজের ঘর আপনাদের চোখে পড়বে। আজকের বাস্তব সত্য হলো, ঢাকার প্রাণকেন্দ্র তো বটেই ঢাকার বাইরেও ফকিরকে পান্তা ভাত খেতে দিলে তারা খেতে চায় না। বরং উল্টো ইংরেজি শোনায়, ‘আমার তো গ্যাস্ট্রিক, আমি পান্তা ভাত খেতে পারি না।’ আমি মনে করি, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া এটা আমরা শুনতে পারতাম না।
শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে ‘আগস্ট ট্রাজেডিস: ওল্ড এনিমাস নোভেল ভেইল’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মতিয়া চৌধুরী এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দায়িত্ব আমাদের সবার ওপরে ছিল, সেই কাজটি তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের সঙ্গে নিয়ে সম্পাদনের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকি পরোয়া না করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য স্বপ্ন, বাংলার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান মো. জমির এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ও কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকিয়া নূর লিপি।

এতে ১৫ আগস্টের সেই ভয়াল রাতের লোমহর্ষক বর্ণনা দেন প্রত্যক্ষদর্শী বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারী আব্দুর রহমান শেখ আব্দুর রহমান রমা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। এ ছাড়া দেশি-বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শাম্মী আহমেদের ‘আগস্ট ট্রাজেডিস: ওল্ড এনিমাস নোভেল ভেইল’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। আর অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আমন্ত্রিত কূটনীতিকরা।