যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু স্বাধীনতার স্বপ্নই দেখেন নি, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নও করেছেন। তিনিই আমাদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র দিয়েছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পর মাত্র তিন বছর ৭মাসের মধ্যে যুদ্ধ বিধ্বস্থ এই দেশকে গড়ে তুলতে প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজ করেছেন ও পরিকল্পনা নেন। কিন্তু ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। শুধু বিপথগামী সেনা সদস্য নয়, কারা নেপথ্যে কুশীলব হিসেবে থেকে নৃশংসভাবে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা আজ জাতির সামনে প্রমাণিত হয়েছে। অথচ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিভিন্নভাবে পুনর্বাসন করে পুরষ্কৃত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্টের এ ঘটনার নেপথ্যে থেকে মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন, তাদের মরনোত্তর বিচার করা এখন সময়ের দাবী বলে আমি মনেকরি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র এই বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে দেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে। তার নেতৃত্বের গুণেই ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনায় দেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আমাদের সকলকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। তিনি অপশক্তির সকল ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সবার প্রতি আহবান জানান।

মঙ্গলবার জাতীয় শোকদিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে (ব্রি) আয়োজিত দোয়া ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গাজীপুরস্থিত ব্রি সদর দপ্তরের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো.শাহজাহান কবীর।

সভাপতির বক্তব্যে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, শোককে শক্তিতে পরিণতকরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনাবাস্তবায়নেকাজকরতেহবে। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে একটি উন্নত ও আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। বর্তমান সরকার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে আছেন বলেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। শেখ হাসিনা দায়িত্বে আছেন বলেই সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রির পরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান ও ড. মো.আব্দুল লতিফ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আতাউল্যাহ মন্ডল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মো. আব্দুল হাদী শামীম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন খামার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সিএসও এবং প্রধান মো. সিরাজুল ইসলাম। আলোচনায় ব্রি বিজ্ঞানী সমিতির সভাপতি ড. আমিনা খাতুন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাবেদ আলী, ব্রি কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. রাশেল রানা, ব্রি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম, ব্রি শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.আব্দুল মজিদ অংশ নেন। আলোচনা সভা সঞ্চালনায় ছিলেন জীব প্রযুক্তি বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. সেন্টু রহমান।

সভায় প্রধান অতিথি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো.জাহিদ আহ্সান রাসেল অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে জাতীয় শোকদিবস সংকলন ২০২৩ “চিরঞ্জীব মুজিব” স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করেন। আলোচনাসভার আগে প্রধান অতিথি ব্রি সদর দপ্তরে পৌঁছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সভায় ব্রি’র সকল বিভাগীয় ও শাখা প্রধান, ব্রিতে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন সংগঠনএর প্রতিনিধিবৃন্দ এবং সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিলেন।