ধানের জাত উদ্ভাবন, উৎপাদন এবং চাষাবাদ ব্যবস্থাপনায় ওআইসিভুক্ত এশীয় এবং আফ্রিকান মুসলিম দেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা বাড়াতে তিন দিনের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা রবিবার গাজীপুরস্থ বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটে (ব্রি) শুরু হয়েছে। ইসলামিক অর্গানাইজেশন ফর ফুড সিকিউরিটি (আইওএফএস) এর উদ্যোগে ও ব্রি’র সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় আইওএফএস এর সদস্য দেশ- মিশর, সেনেগাল, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্থান, উগান্ডা, সুরিনাম, ওমানসহ ৮টি দেশের ১০জন বিজ্ঞানী অংশ গ্রহণ করছেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড প্লানিং ও মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীরের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইওএফএস এর মহাপরিচালক ড. ইয়ারলান এ. বাইদাউলেট। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রি’র পরিচালক ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান এবং ড. মো. আব্দুল লতিফ। আইওএফএস সদস্য দেশগুলোতে ব্রি উদ্ভাবিত আধুনিক ধান উৎপাদন প্রযুক্তি সরবরাহ এবং ধান চাষাবাদ ব্যবস্থাপনায় তাদের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এই প্রশিক্ষণের অন্যতম উদ্দেশ্য।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত সচিব মো. মমতাজ উদ্দিন বলেন, পর্যাপ্ত আবাদি জমি ও সম্পদ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাবে এশিয়া ও আফ্রিকার অনেক দেশ খাদ্য সংকটে ভুগছে। এই সকল দেশের মানুষকে বাংলাদেশের জাত উদ্ভাবন এবং চাষাবাদ ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তিতে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ানো গেলে এসব দেশের খাদ্য সংকট লাঘব করা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ব্রি’র মহাপরিচালক ড. মোঃ শাহজাহান কবীর বলেন, আমাদের দক্ষ বিজ্ঞানী, উন্নত প্রযুক্তি ও মানব সম্পদ রয়েছে। এই কারণে আমরা খাদ্যে স্বয়ংভরতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। মুসলিম উম্মার সার্বিক উন্নয়নে ও আইওএফএস সদস্য দেশগুলোর খাদ্য সংকট নিরসনে আমরা আমাদের অভিজ্ঞতা, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ নিয়ে তাদের পাশে থাকতে চাই। এই লক্ষ্যেই আমরা এই প্রশিক্ষণে তাদের সহায়তা প্রদান করছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের সহযোগিতা বাড়াতে ব্রি ও আইওএফএস দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের লক্ষ্যে কাজ করছে।