গণমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রশ্নে জারি করা রুলের নোটিশ রিটে উল্লিখিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গুলশানের ঠিকানায় পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া আইন অনুযায়ী বিকল্প হিসেবে জাতীয় দৈনিকে এ নোটিশ জারির কথা বলা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এর আগে ৮ আগস্ট সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামসহ আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা অনলাইনসহ সব গণমাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করতে হাইকোর্টে আবেদন করেন। এ সময় বিচারপতি. মো. খসরুজ্জামান জানতে চান— তারেক রহমানকে নোটিশ দেওয়া হয়নি, তা হলে কীভাবে শুনানি হবে? তখন রিটকারী আইনজীবী কামরুল ইসলাম উত্তরে বলেন, উনাকে কোনো ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১০ আগস্ট তারেক রহমানের লন্ডনের ঠিকানা সংশোধন করে নতুন আবেদন আনতে বললেন হাইকোর্ট। এ সংশ্লিষ্ট আবেদন নতুন করে জমা দেওয়ার পর আদালত আজ এ নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকায় তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে তার বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।

২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি ওই রুল জারি হলেও তা নিষ্পত্তি হয়নি। সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার হলে বিষয়টি আবার আলোচনায় আসে। এর পর রুল শুনানি করতে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে।