ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইনের (৭৩) একটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে তার ভিডিও সুপার এডিট করে ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে- এমন দাবিতে যুবলীগ নেতাসহ ৮ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যায় কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখকে (৪৩) প্রধান আসামিসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনের নামে মামলা করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গত বুধবার বিকাল ৪টার দিকে কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন আসামিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ওই আপত্তিকর ভিডিও দেখতে পান।

বাদীর ধারণা, আসামিরা তার ব্যক্তিগত ভিডিও অজ্ঞাত নারীর সঙ্গে সুপার এডিট করে তাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেছে।

এ বিষয় ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, আসামিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মো. ফাইজুর রহমান বলেন, কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি আমাদের সবার মুরব্বি। তাকে নিয়ে ফেসবুকে এ ধরনের আপত্তিকর ভিডিও ছেড়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। সেই সঙ্গে যারা এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার দাবি করছি।