প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা এখনো জনগণকে জিম্মি করে নানাভাবে হয়রানির চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা ও গুলি ছাড়া কিছুই বুঝে না।

২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে এবং চলাকালীন সহিংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। অগ্নিসংযোগসহ তারা মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

বুধবার (৯ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আরো ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দরিদ্রদের মধ্যে ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমরা জানি আমাদের একটি বিরোধী দল আছে। তারা মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ সহিংসতা, বাস ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগ, পুলিশকে আক্রমণ এবং সাধারণ মানুষকে হত্যার মতো অপকর্ম করে।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বিতরণের সময় প্রধানমন্ত্রী কার্যত তিনটি স্থানের সুবিধাভোগী এবং স্থানীয় জনগণের সাথে যুক্ত ছিলেন।

তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরখাদা উপজেলায় বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলায় চাকলা আশ্রয়ন-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার অন্তর্গত বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানুল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।

দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও ২ দশমিক ২ শতাংশ জমির মালিকানা দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ছাড়া প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার লোককে বাড়িতে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে সারাদেশে এ পর্যন্ত মোট ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত হয়েছে।

ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার হওয়ার গৌরব অর্জনকারী ১২টি জেলা হলো- মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।