গাজীপুরের টঙ্গীতে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে এক পাখি ব্যবসায়িকে কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেছেন। তাকে ১৯টি বন্যপাখিসহ আটক করা হয়। মঙ্গলবার রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক গাজীপুর জেলা প্রশাসনের নিবাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও টঙ্গী সার্কেলের সহকারি কমিশনার (ভ’মি) তামান্না রহমান জ্যোতি ওই দন্ড প্রদান করেন।

পাখি ব্যবসায়িকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও ২০দিনের কারান্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
দন্ডিত পাখি ব্যবসায়ির নাম- মো. ইব্রাহিম (৩৬)। সে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার জালালাবাদ এলাকার আফতাব উদ্দিনের ছেলে।

বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আস সাদিক জানান, গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী মুন্সিপাড়া রোড এলাকায় ডা. আব্দুর রবের বাসায় ভাড়া থেকে পাখির ব্যবসা করতেন ইব্রাহিম। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই ইউটিউবের মাধ্যমে বন্যপাখি ও প্রাণির ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। দেশিয় এসব বন্যপাখি ও প্রাণি ধরা ও বিক্রি করা নিষিদ্ধ থাকলেও তিনি অনলাইনে এ ব্যবসায়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইতোপূর্বে একাধিকবার অবৈধভাবে এ ব্যবসা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন তিনি। জামিনে মুক্ত হয়ে সম্প্রতি তিনি আবার ওই পাখির শুরু করেন। তার হেফাজতে বেশকিছু বন্য প্রাণি ও পাখি রয়েছে এমন খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীতে ইব্রাহিমের বাসায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। পরে তার বাসার গুদাম থেকে ১৪টি পাহাড়ি ময়না এবং ৫টি টিয়া পাখি জব্দ করা হয়। মঙ্গলবার রাতে মামলা দায়ের ও ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইব্রাহিমকে ৫০হাজার টাকা জরিমানা ও ২০দিনের বিনাশ্রম কারান্ড প্রদান করা হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না রহমান জ্যোতি জানান, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৩৪ (খ) ধারায় ওই পাখি ব্যবসায়িকে ৫০হাজার টাকা অর্থদন্ড ও ২০ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।