সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকবাহী নৌকা থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩১ জন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিবিরের কর্মী। এতে ৩১ জন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ ৩৪ শিবির কর্মী বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১১ টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সাঈদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, জানমালের ক্ষতিসাধন, রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ডসহ সাম্প্রতিক সময়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছিলেন। এতে নেতৃত্বে দেন বুয়েট শাখার বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বায়তুলমালবিষয়ক সম্পাদক আফিফ আনোয়ার।

আরও বলা হয়, তাদের আটক করে তাহিরপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আটককৃতদের কাছ থেকে তল্লাশি করে ৩৩টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, ছাত্র শিবিরের বিভিন্ন কার্যক্রম সংক্রান্ত স্কিনশর্টের কপি, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কল্যাণ তহবিল সংক্রান্ত প্রচারপত্র, সদস্য, সাথীদের পাঠযোগ্য কোরআন ও হাদিসের সিলেবাস, কর্মী ঘোষণা অনুষ্ঠান সংক্রান্ত স্ক্রিনশর্টের কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় এসআই মো. রাশেদুল কবির বাদী হয়ে বর্তমানে বুয়েটে অধ্যয়নরত ২৪ ও সাবেক ৭ শিক্ষার্থী এবং অন্যান্য আরও তিনজনের নামে তাহিরপুর থানায় মামলা রুজু করেন। এরপর তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা হলেন, বুয়েটের শিক্ষার্থী আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, সাইখ মিয়া, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আবদুল্লাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি, মাঈন উদ্দিন, আবদুল বারি, বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, এহসানুল হকন।

অন্যরা হলেন বাবুর্চি রাইয়ান আহম্মেদ, সঙ্গী তানিমুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ মিয়া।