রাজধানীর পল্লবী থানার আদর্শনগর এলাকায় একটি বাড়িতে মাকে বিবস্ত্র করে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে মেয়ের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর ক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।

নিহত কিশোরীর নাম বৈশাখী বেগম (১৫)। আর তার মায়ের নাম লাভলী বেগম।

সোমবার রাতে অভিযানের সময় ওই কিশোরীকে পুলিশ গলাটিপে হত্যা করেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছিল। তারা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে ফেলে।

স্থানীয়রা বলছেন, বৈশাখীর বয়স ১৬ বছরের বেশি নয়, তবে বছর খানেক আগে তিনি বিয়ে করেন। পুলিশের ভাষ্য মতে, বৈশাখীর বয়স ১৯ বছর।

মাদক কেনাবেচার অভিযোগে বৈশাখীর বিরুদ্ধে চারটি এবং তার মা লাভলীর বিরুদ্ধে সাতটি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোমবার লাভলীর বাসায় পুলিশ গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা না দেয়ায় তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করা হয়। এ সময় পল্লবী থানা পুলিশের সামনেই ওই কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

পুলিশ বলছে, ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যা মানলেও তাতে প্ররোচনার জন্য পুলিশকেই দায়ী করেছে তার স্বজনরা।

এই ঘটনার তদন্ত হবে বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, যে তরুণী মারা গেছেন, সেই বৈশাখী বেগম এবং তার মা লাভলী বেগম মাদক বিক্রি করেন। তাদের বাড়ি থেকে দুই কেজি গাঁজা ও কয়েক শ’ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। লাভলীকে গ্রেফতার করে থানায় আনার পথে তিনি পালিয়ে যান।

আদর্শনগর এলাকার কয়েকজন জানিয়েছেন, লাভলীর বাড়িতে মাদক বিক্রির খবর তারা জানেন। তবে ওই বাড়িতে পুলিশের সোর্সদেরও নিয়মিত আনাগোনা রয়েছে।