কিশোরী গৃহকর্মীকে ধর্ষণ ও সন্তান প্রসবের ঘটনার মামলায় গাজীপুরের কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সোমবার গাজীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমণ ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি মাইন উদ্দিন কিরণ গ্রেপ্তারী পরোয়ানার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত বছরের (২০২২ সাল) ৩১ আগস্ট ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় কাপাসিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন প্রধানকে ‘সন্তানের বাবা’ দাবি করে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে আনেন। সাখাওয়াত হোসেন কাপাসিয়া উপজেলার রাউৎকোনা গ্রামের মৃত সাহেব আলী মোক্তারের ছেলে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ওই মামলায় সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করেন গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাখাওয়াত হোসেন তাঁর স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে কিশোরী গৃহকর্মীকে প্রায়ই ধর্ষণ করতেন। এক পর্যায়ে কিশোরী গর্ভবতী হয়ে গেলে চেয়ারম্যান তার বাড়ির কাজের লোকের সঙ্গে জোরপূর্বক গর্ভবতী কিশোরীকে বিয়ে দেন। পরে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে উপজেলার তরগাঁও খেয়াঘাট সংলগ্ন এক বাসায় ভাড়া রাখেন চেয়ারম্যান সাখাওয়াত। ওই বছরের ১৬ আগস্ট কিশোরীকে কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সন্তান প্রসবের পর বাচ্চাসহ কিশোরীকে পুনরায় ভাড়া বাসায় পাঠিয়ে দেন চেয়ারম্যান। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেয়ারম্যান ২০২২ সালের ২৯ আগস্ট রাতে বাচ্চাসহ মেয়েটিকে ভাড়া বাসা থেকে অপহরণ করে। তখন অপহরণ এবং ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেছিলেন চেয়ারম্যান।
কাপাসিয়া উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা রহুল আমীন জানান, ভুক্তভোগী কিশোরী ও তাঁর সন্তান গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ‘শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) গাজীপুরে রয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ওসি এ এইচ এম লুৎফুল কবীর জানান, অফিসিয়ালি থানায় এখনো গ্রেফতারি পরোয়ানা আসেনি। হাতে পাওয়া মাত্রই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।