পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মো. রাসেল আলী ওরফে শেখ রাসেল আলী মাসুদ (ভিপি মাসুদ) ও তার স্ত্রী নাছরিন আক্তারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বর্হিভ‚ত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুদক।
শেখ রাসেল আলী মাসুদ ওরফে ভিপি মাসুদ পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রভাইডার (সিএইচসিপি) হিসেবে চাকুরি করেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনার সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খাইরুল হক বাদী হয়ে পৃথক এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, পাবনা সদরের রামচন্দ্রপুর মহল্লার আব্দুল করিমের ছেলে, পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য’র বিশেষ সহকারী ও পাবনা সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ রাসেল আলী ওরফে শেখ রাসেল আলী মাসুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয় দুদক থেকে। সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ দেয়ার পর সম্পদ বিবরণী ফরম স্বাক্ষরসহ উত্তোলন করলেও পরবর্তীতে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করেননি।
দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে তার জ্ঞাত আয়বর্হিভ‚ত সম্পদের তথ্য। তার সার্বিক আয় ও স্থাবর-অস্থাব সম্পদের মধ্যে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ২৯ লাখ ৭৫ হাজার ৯২৯ টাকার সম্পদের সন্ধান পায় দুদক।
অপরদিকে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী শেখ রাসেল আলী মাসুদের স্ত্রী, পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিএইচসিপি নাছরিন আক্তার দুদকের জারীকৃত সম্পদ বিবরণী ফরম উত্তোলন করলেও কমিশনে দাখিল না করে জ্ঞাত আয়বর্হিভ‚ত ২৭ লাখ ২০০ টাকার সম্পদ ভোগ করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দুদক সমন্বিত কার্যালয় পাবনার উপপরিচালক মো. খাইরুল হক বলেন, জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন পূর্বক ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের আইন অনুসারে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তিনি বলেন, ইতোপূর্বে তাদের দুদক থেকে সম্পদ বিবরণী জমাদানের জন্য নোটিশ জারী করা হয়। কিন্তু তারা যথা সময়ে সেই সম্পদ বিবরণী জমা না দিয়ে শাস্তিযোগ্য অপরাধও করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে আনিত অপরাধ প্রতিয়মান হওয়ায় তাদের (স্বামী ও স্ত্রী) বিরুদ্ধে দুদকের প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে।