তুরস্ক ও সৌদি আরব বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা শিল্প, জ্বালানি এবং যোগাযোগসহ নানা বিষয়ে একাধিক চুক্তি করেছে। রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও সৌদির প্রধানমন্ত্রী ও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)।

উপসাগরীয় দেশগুলোর সফরের শুরুতে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

টিআরটির খবরে বলা হয়েছে, সৌদি আরবের জেদ্দায় এরদোয়ান এবং মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়।

বৈঠক ও রাজপ্রাসাদের আপ্যায়ন শেষে তুরস্কের তৈরি টগ হোটেলে ফেরেন এরদোয়ান। এরদোয়ানকে পাশে নিয়ে গাড়িটি চালান সৌদি যুবরাজ।

সৌদি আরবের পর এরদোগান যথাক্রমে কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করবেন।

ইস্তাম্বুল ত্যাগের সময় এরদোয়ান বলেন, এই সফরের প্রধান অ্যাজেন্ডা হবে এসব দেশ থেকে যৌথ বিনিয়োগ এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম। উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য গত ২০ বছরে ১.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ২২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে এটি সৌদি আরবে এরদোয়ানের দ্বিতীয় সফর। ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটে সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর দুই দেশের সম্পর্কে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল। তবে পরে সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক হয়।

২০২২ সালে এরদোগান সৌদি আরব সফর করেন। গত বছরের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তুরস্ক সফর করেন। সৌদি আরব গত মার্চে তুরস্কের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৫ বিলিয়ন ডলার মজুত করে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এর আগে আল সালাম রাজপ্রাসাদে সৌদি যুবরাজের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।

সম্পর্ক জোরদার করতে তিন দিনের উপসাগরীয় সফরের অংশ হিসেবে সোমবার সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। সফরের প্রথম ধাপে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা জেদ্দার বিমানবন্দরে এরদোয়ানকে স্বাগত জানান।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অন্যান্য তুর্কি কর্মকর্তারা রয়েছেন।

আলোচনার পর সৌদি যুবরাজকে তুরস্কের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি টগ উপহার দেন এরদোয়ান। দুই নেতা রাজপ্রাসাদের আঙিনায় গাড়িটি চালিয়ে দেখেন।