এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের জন্য গোটা দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘এই ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে আজকে শিক্ষকরা জেগে উঠেছে, শ্রমিকরা জেগে উঠেছে, ছাত্ররা জেগে উঠেছে। গোটা দেশের মানুষ ফুঁসে উঠেছে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগের জন্য। এই অবস্থার অবসান ঘটাতেই হবে।

রোববার দুপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি উপলক্ষে রাজধানীর বেইলি রোডে লিফলেট বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এক দফা আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ে। এটার জন্য আজকে গোটা জাতি একেবারে ঐক্যবদ্ধ। কোনোভাবেই এর বাইরে জাতির কোনো মুক্তি হবে না, যদি শেখ হাসিনা টিকে থাকে। সুতরাং শেখ হাসিনার পতন এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার, যার অধীনে একমাত্র অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হওয়া সম্ভব। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘কয়েক মাস পর নির্বাচন দেশের জনপদের পর জনপদ এলাকার পর এলাকা তারা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে, হাতের কব্জি কেটে দিচ্ছে, পা কেটে দিচ্ছে- এই রক্তাক্ত ভয়াবহ সন্ত্রাসী পরিকাঠামোর মধ্যে তারা একটি ভয়াল নির্বাচন করতে চায়। যেখানে ভোটাররা যাবে না, সাধারণ মানুষ যাবে না, ভোট দিতে তারা ভয় পাবে, একটা ভয়ের সংস্কৃতি তারা চালু করতে চায়।

বিএনপির এই মুখপাত্র আরো অভিযোগ করেন, ‘একটা সামান্য বক্তৃতার কারণে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদকে প্রতিদিন জেলা শহরের কোনো না কোনো আদালতে হাজির করা হচ্ছে, রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। আজকেও যখন যশোরের মাগুরাতে তার নামে মিথ্যা মামলায় হাজিরা দিতে গেছেন সেখানে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আবু সাঈদ চাঁদের এবং তার অ্যাডভোকেটদের ওপর নানাভাবে আক্রমণ করেছে। এই হানাহানি রক্তপাতের সরকারের অধীনে কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

রিজভী বলেন, ‘এফবিসিসিআইয়ের মত একটি ব্যবসায়ীদের সংগঠন তারা আজকে আওয়ামী লীগের সুরে, ওবায়দুল কাদেরদের সুরে, হাছান মাহমুদদের সুরে বক্তব্য রাখছে। আজকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যাদের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করার কথা, তাদের দলদাসে পরিনত করেছে এই সরকার। কোনো প্রতিষ্ঠানেই কোনো গণতন্ত্র নেই, নির্বাচন নেই বলেই আজকে এফবিসিসিআইয়ের মত একটি সংগঠনের নেতারাও সরকারের দলদাসে পরিনত হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী ১৮ এবং ১৯ তারিখে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচনকালীন সরকারের দাবিতে। এই দাবিতে আমাদের অবিরাম পথযাত্রা চলবে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত।’

এসময় লিফলেট বিতরণকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন রোাকন, কৃষকদলের যুগ্ম-সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট, যুবদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, ঢাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ।